সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
গেল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের মধ্যে চরম বিরোধ ছিলো। তারা দুইজনই আওয়ামী লীগের আলোচিত মুখ। সেই দুই নেতার মধ্যে এখন সখ্যতা বাড়ছে। তারা হলেন পাবনা -১ (সাথিয়া-বেড়া আংশিক) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ, বেড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আলহাজ্ব আব্দুল বাতেন। সোমবার ৯ মে জাতীয় প্রেসক্লাবে তাদেরকে এক টেবিলে দেখা গেছে।
বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল বাতেন বলেন, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ আমাদের নেতা ছিলেন, আমাদের ( সাইয়িদ) নেতা আছেন। উনি মুরুব্বি। ঐ গ্রামের (বৃশালিখা) সর্বোচ্চ বয়সী মানুষ তিনি।
ভাই এবং ভাতিজার কড়া সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাবেক মেয়র আ:বাতেন বলেন, একজন প্রতাপশালী প্রতাপ দেখানোর জন্য যা করা দরকার তাই উনারা বাপ-বেটা করছে। অন্য কোনো কারণ নাই। আপনারা যেয়ে দেখেন জমি কারা দখল করছে। যারা খুনি তারা একত্রিত হয়েছে। মাদকাশক্ত ব্যক্তিদের একত্রিত করেছেন । বালির টাকা কারা নিচ্ছে ? ঘাটের টাকা কারা নিচ্ছে? আপনারা জানেন বেড়া সিএনবি একটা বড় হাট। সেই হাটের টাকা কোথায় যাচ্ছে ? কে নিচ্ছে। ইজারাদার দিয়ে অর্থ তুলতে দেয়। আপনারা দেখেন যারা খুনি তারা কিভাবে একত্রিত হয়েছে উনার দলে। ঐ এলাকায় কিভাবে অত্যাচার হচ্ছে। মাদক,বালি মহল কার দখলে। এর দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। থানা এবং উনারা দুই বাপ-বেটা একত্রিত হয়ে জনগণের উপর অত্যাচার করছে। ফলে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বেড়া পৌর এলাকায় সন্ত্রাস ,খুন, দুর্নীতি ,চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, জবরদখল ও দুর্বৃত্তায়ন বিরোধী ও প্রতিকারার্থে এক সাংবাদিক সম্মেলনে পাবনা ১ আসনের বর্তমান এমপি এড. শামসুল হক টুকুর ছোট ভাই আঃ বাতেন এসব কথা বলেন।
উল্লেখ্য অনিয়মের অভিযোগে আব্দুল বাতেনকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।